মো. শরিফুল ইসলাম
গ্রাম-পানচুর
উপজেলা-লোহাগড়া
জেলা-নড়াইল
প্রশ্ন : আদা গাছের গোড়া পচে যাচ্ছে, কী করব?
উত্তর : আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে বা নষ্ট করে ফেলতে হবে। রোগমুক্ত গাছ থেকে কন্দ সংগ্রহ করতে হবে। কাঁচা গোবর পানিতে গুলে কন্দ শোধন করে ছায়ায় শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কম্প্যানিয়ন বা নোইন বা রিডোমিল গল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ বা ৪ গ্রাম কুপ্রাভিট বা ১% বর্দোমিশ্রণ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে।
দীপঙ্কর সরকার
গ্রাম-লতাখামার
উপজেলা-দৌলতপুর
জেলা-খুলনা
প্রশ্ন : করলা গাছের পাতা গুচ্ছ হয়ে যাচ্ছে এবং গাছ বাড়ছে না, কী করব?
উত্তর : আক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। ক্ষেতের আশপাশের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। বাহক পোকা ধ্বংস করার জন্য বালাইনাশক যেমন- এসাটাফ, টিডো, এডমায়ার প্রয়োগ করতে হবে। টেট্টাসাইক্লিন বা লেডার মাইসিন (৫০০ পিপিএম বা ০.৫ গ্রাম/ লিটার পানি) ছিটিয়ে রোগ দমনে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সফিকুল ইসলাম
জেলা-পঞ্চগড়
উপজেলা-দেবীগঞ্জ
গ্রাম-শালডাঙ্গা
প্রশ্ন : মাছ চাষ পানির পিএইচ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে?
উত্তর : পুকুর বা খামার তৈরির সময় কেজি/প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন ৩-৫ ফুট পানির গভীরতায় প্রয়োগ করতে হবে। মজুদ পরবর্তীতে প্রতি শতকে ২৫০-৫০০ গ্রাম/প্রতি শতকে হারে প্রয়োগ করতে হবে। পানির পিএইচ পরীক্ষা করে যদি ৬ এর নিচে থাকে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চুনের পরিবর্তে জিওটক্স/জিওলাইট শতাংশে ২৫০ গ্রাম/ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
এছাড়াও বায়োকেয়ার প্রতি ৭ দিন অন্তর ৮০-১২০ মিলি./প্রতি শতকে হারে দিতে হবে প্রতিষেধক হিসেবে। আর নিরাময়ের জন্য পর পর ২ দিন ১২০-১৬০ মিলি./প্রতি শতকে হারে প্রয়োগ করতে হবে।
আবদুর রহিম
জেলা-চাঁদপুর
উপজেলা-ফরিদগঞ্জ
গ্রাম-কড়ইতলী
প্রশ্ন : পুকুরের পানি ঘোলা হলে কী কী করণীয়?
উত্তর : পোড়া চুন ১-২ কেজি/প্রতি শতকে বা জিপসাম ১.৫-২ কেজি/ শতক হারে প্রয়োগ করতে হবে। ফিটকিরি ২৪০-২৪৫ গ্রাম/ প্রতি শতকে ৩০ সেমি. গভীরতায় প্রয়োগ করতে হবে। পানি পরিবর্তন করা বা খাদ্য কমিয়ে দিতে হবে। পুকুর তৈরির সময় জৈবসার বেশি ব্যবহার করতে হবে। পানি পরিবর্তন বা নতুন পানি সংযোগ করতে হবে।
আবদুল রফিক
গ্রাম-পূর্ব তিমিরপুর
উপজেলা-নবীগঞ্জ
জেলা-হবিগঞ্জ
প্রশ্ন : পটোল গাছের কা- থেকে আঠা ঝরছে, এবং বাকল ফেটে কষ পড়ছে। কী করণীয়?
উত্তর : এটি পটোলের ছত্রাকজনিত রোগ এজন্য-
- আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট করতে হবে।
- আক্রান্ত কাণ্ডে বর্দোমিশ্রণ (১%) বা কুপ্রাভিট (০.৪%) স্প্রে করতে হবে;
- রোগমুক্ত গাছ থেকে কাটিং সংগ্রহ করতে হবে।
কানাইলাল বিশ্বাস
গ্রাম-করগাদি
উপজেলা-মধুখালি
জেলা-ফরিদপুর
প্রশ্ন : ধানের গুদামে ইঁদুরের আক্রমণে ধানের ক্ষতি হচ্ছে। ইঁদুর দমনে কী করণীয়?
উত্তর :
- ঘরবাড়ি, গুদাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা;
- সম্ভব হলে শস্য টিনের পাত্রে সংরক্ষণ করা;
- ড্রাম বা গোলা মাচার ওপর সংরক্ষণ করা;
- বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ ব্যবহার করা;
- গ্লুবোর্ড (আঠা বোর্ড) ব্যবহার করা;
- তীব্র বিষ হিসেবে জিংক ফসফাইড (২%) বিষটোপ হিসেবে ব্যবহার করা।
মমতাজ বেগম
গ্রাম-শালগাড়িয়া
উপজেলা-পাবনা সদর
জেলা-পাবনা
প্রশ্ন : আম গাছের বয়স ২/৩ বছর। হঠাৎ করে চারা গাছের আগা শুকিয়ে আসছে। কী করলে উপকার পাবো।
উত্তর : এ রোগটি আম গাছের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক ও অধিকাংশ জাতে কমবেশি দেখা যায়। গাছের যে কোনো বয়সে এ রোগটি হতে পারে। আক্রান্ত গাছের আগা মরে যায় যাকে ডাইব্যাক বলে। কচি পাতা শাখা-প্রশাখা, কা-, মুকুল ও ফল আক্রান্ত হয়।
রোগাক্রান্ত ডালপালা কেটে পুড়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত পাতা দেখলেই ব্যাভিস্টিন বা নোইন ২০ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।
লিটন রায়
গ্রাম-বেলাই
উপজেলা-দিনাজপুর সদর
জেলা-দিনাজপুর
প্রশ্ন : পেঁপে গাছের ফল পচে ঝরে যাচ্ছে। করণীয় কী?
উত্তর : এটা পেঁপের ফল পচা বা পেঁপের অ্যানথ্রাক্সনোজ রোগ। পাতা, বোঁটা, ফলে বাদামি দাগ দেখা যায়। পাকা ফলে কালো দাগ হয়। আক্রান্ত অংশগুলো সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে বা পুড়ে ফেলতে হবে। গাছে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম কার্বেনন্ডাজিম (ব্যাভিস্টিন বা নোইন) জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে ১০-১২ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে। ফল সংগ্রহের অন্তত ২০ দিন আগে স্প্রে বন্ধ করতে হবে।
সুমন
গ্রাম-নকীপুর
উপজেলা-শ্যামনগর
জেলা-সাতক্ষীরা
প্রশ্ন : গরুকে পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছে। কী করব?
উত্তর : কামড়ানো জায়গা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। রেবিসিন ১০ সিসি ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১ম দিন ৪ সিসি, ৭ম দিন ৩ সিসি এবং ২১তম দিন ৩ সিসি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
আরিফ
গ্রাম-লেবুখালী
উপজেলা-দুমকী
জেলা-পটুয়াখালী
প্রশ্ন : আর্থ্রাইটিস/ গিরা ফোলা রোগে কী করব?
উত্তর : এ রোগের আক্রমণে : পায়ের গিরা ফুলে যায়, পানি জমে থাকে, ব্যথা হয়, খুঁড়িয়ে হাঁটে।
- অ্যাসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড প্রতিবার ১ গ্রাম করে দিনে ২-৩ বার খাওয়ানো যেতে পারে।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য এবং ওষুধ প্রয়োগ করে এ রোগের চিকিৎসা করা যায়।
- ডিসপিরিন ট্যাবলেট ০.৩ গ্রাম হিসেবে দিনে ৩ বার খাওয়ার পর দেয়া যেতে পারে।
কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ*
*সহকারী তথ্য অফিসার (শস্য উৎপাদন), কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫ ধরড়পঢ়@ধরং.মড়া.নফ